চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মাইটভাঙা ইউনিয়নে দুই রোহিঙ্গা সহোদরকে আটক করা হয়েছে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক দুই রোহিঙ্গা সহোদর হলো- গণি মিয়া (৩৫) ও মো.রফিক (৩০)। তারা ১০ দিন আগে ভাসানচর থেকে পালিয়ে সন্দ্বীপ হয়ে চট্টগ্রাম যায়। গণি মিয়া ভাসানচর এফ ৮৩ নম্বর ক্লাস্টার ও রফিক জি ৮৫ নম্বর ক্লাস্টারে আশ্রিত ছিল। তারা দেড় বছর আগে স্ত্রী সন্তানসহ কক্সবাজার থেকে ভাসানচর আসে।
আটক রোহিঙ্গা গণিমিয়া জানান, গত ৯ জুন ভাসানচর থেকে গ্যালন দিয়ে ভেসে সন্দ্বীপ আসেন। সন্দ্বীপ উপকূলে কিছু বখাটে তাদের আটক করে মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে তারা বিকাশ নম্বরে ভাসানচর থেকে ছয় হাজার টাকা আনিয়ে দিলে বখাটেরা পাঁচ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল সেট রেখে দিয়ে তাদের গুপ্তছড়া ঘাটের দিকে পাঠিয়ে দেয়। তারা ঘাটের আশপাশে একটি ব্রিকস ফিল্ডে একদিন চারশ টাকা বেতনে কাজ করে। কিন্তু রোহিঙ্গা পরিচয় পাওয়ার পর তাদের কাজ থেকে বের করে দিলে তারা দুই ভাই চট্টগ্রাম পাড়ি দেয়। গণিমিয়া পটিয়ায় একটি বাঁশ ঝাড়ে বাঁশ কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। রফিক লটকনপুর জসিমের লেবু বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তিনদিন পর সে কর্মস্থলে আহত হয়ে কক্সবাজার বালুখালী ক্যাম্পে তার মায়ের কাছে ফিরে যায়। গতকাল শনিবার তারা দুজনে যোগাযোগ করে পটিয়ায় মিলিত হয়ে কুমিরা ঘাট হয়ে লালবোটে করে সন্দ্বীপ আসে। সন্দ্বীপ থেকে ভাসানচর যাওয়ার পথে মাইটভাঙ্গা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দিলে তাদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। পরে সন্দ্বীপ থানায় যোগাযোগ করে রাতেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, দুইজন রোহিঙ্গা নাগরিক আটকের খবর শুনে আমি গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাদের ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসি। সেখান থেকে আবার গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তাদের থানায় পৌঁছে দিই।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, দুইজন রোহিঙ্গা থানা হেফাজতে রয়েছে। তাদের কোস্টগার্ডের মাধ্যমে ভাসানচর পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
পাঠকের মতামত: