জয়পুরহাটে দাদনের সুদের এক হাজার টাকার জন্য চাচিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন।
সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রাকিবুল হাসান ওরফে টিটু (৩২)। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার খঞ্জনপুর পূর্বপাড়া এলাকার আবু সুফিয়ান আকন্দের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তাকে পুলিশ পাহারায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, আসামি রাকিবুল হাসান তার চাচি মাসুমা বেগমের কাছে দাদনে ২ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। পরে তার চাচিকে আসল টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। ওই টাকার ওপর লাভের এক হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাকিবুল সুদের এক হাজার টাকা আর দেননি। সুদের এক হাজার টাকা নিয়ে তাদের চাচি-ভাতিজার ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। এরপর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সকালে চাচি মাসুমা বেগম খঞ্জনপুর পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির আঙ্গিরায় কাপড় শুকানোর জন্য দড়ি টানানোর কাজ করছিলেন। এ সময় ভাতিজা রাকিবুল তার চাচিকে দড়ি টানানোর জন্য নিষেধ করেন। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাকিবুল তার চাচির মাথায়, চোয়ালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাসুয়ার কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করেন। গুরুতর আহত মাসুমা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মাসুমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রাকিবুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত মাসুমা বেগমের মেয়ে বিউটি বেগম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করেন থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) তহিদুল ইসলাম। তদন্ত শেষে তিনি ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল রাকিবুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলাটি দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।
পাঠকের মতামত: