কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্যে দুই মাসে ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি

করোনার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্যে গত দুই মাসে প্রায় ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে মে মাসে প্রায় ৮ কোটি টাকা, এপ্রিলে প্রায় ১১ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি।

সোমবার (১ জুন) রাজস্ব আদায়ের এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থল বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দীন।

তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মে মাসে ১৫০টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক মাসিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা কম আদায় হয়। এতে মিয়ানমারের পণ্য আমদানি হয়েছে ৩৪ কোটি ৯২ লাখ ৩৪ হাজার টাকার। তবে করোনায় বন্ধ থাকা পশু আমদানি মে মাসের শেষে খুলে দেওয়ায় মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২৮১টি গরু, ৮৫৩টি মহিষ আমদানি করে ১০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়।

অপরদিকে মিয়ানমারে ২৭টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ৮৫ লাখ ৫২ হাজার টাকার দেশীয় পণ্য রফতানি করা হয়েছে।

অপরদিকে গত এপ্রিলে ১৪২টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৭ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়। ওই মাসেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা কম আদায় হয়। এ মাসে করোনায় পশু আমদানি বন্ধ থাকায় সেই খাত থেকে কোনো ধরনের রাজস্ব আদায় হয়নি।

তিনি আরও বলেন, করোনার প্রভাব এ সীমান্ত বাণিজ্যে পড়েছে। সারাদেশে সাধারণ ছুটি চললেও শুধুমাত্র নিত্যপণ্য আমদানির লক্ষে সীমিত আকারে বন্দর চালু রাখা হয়েছে। এতে এপ্রিলে পণ্য আমদানি তেমন না হলেও মে মাসে অল্পসংখ্যক পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে করোনার প্রভাব কেটে না যাওয়া পর্যন্ত পণ্য আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সময় লাগবে বলে মনে করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: