কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফের মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মমতাজের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার মামলায় ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ভারতের বহরমপুরের একটি আদালত। সেখানকার মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারক অলকেশ দাস এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সংগীতশিল্পী মমতাজকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ অগস্ট মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল মমতাজের। ৮ অগস্ট বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মমতাজের মামলার চার্জ গঠন করা হবে। তিনি সেদিন উপস্থিত না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।

এরপর বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে আদালতে একটি আবেদনপত্র দাখিল করে মমতাজ জানান, ওই সময়ে কানাডায় একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। এ কারণে সেদিন তার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হবে না।

কিন্তু মুর্শিদাবাদের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। পরে সমন কার্যকর না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। মমতাজ নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেলেও শক্তিশঙ্কর বাগচী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখেন কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনবার আগাম জামিন পান জনপ্রিয় এই গায়িকা।

এ বিষয়ে মমতাজের বিরুদ্ধে মামলাকারী শক্তিশঙ্কর বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই মামলা চলছে। আমি এই মামলার শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। এই মামলার জন্য আমি নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। আমার সেই দিনের ১৪ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে অনুষ্ঠান না করায় বহু আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ন্যায়বিচার চাই। আমার দেওয়া অগ্রিম টাকা সুদসহ, মামলার সব খরচ এবং আমার ১৫ বছরের হয়রানির ক্ষতিপূরণের টাকা চাই।

অন্যদিকে মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বলেন, মমতাজের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি। তবে আমার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যা কথা হয়েছে তাতে আমি এতটুকু বলতে পারি, আদালতকে সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি। আশা করছি আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দেবেন মমতাজ।

পাঠকের মতামত: