কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সিনহা খুনের ঘটনায় ৮০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট সোমবার যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে

অবশেষে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। ওসি প্রদীপের মুখোমুখি হওয়ার পর শেষ দফায় বাড়ানো সময় সাত দিনের মধ্যেই এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে। ১২টি সুপারিশসহ ৮০ পৃষ্ঠার এই তদন্ত প্রতিবেদন সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা পড়বে।

জানা গেছে, প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জমা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন কমিটির সদস্যরা। শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউজে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক একথা জানান তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান। এর মধ্যে দিয়ে তিন দফা সময় বাড়িয়ে ৩৫ দিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা জানালেন কমিটি এই প্রধান।

shopping bag home delivery
তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে গেছে। তদন্তে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে সম্মলিত এই প্রতিবেদনটি প্রায় ৮০ পৃষ্ঠা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের সাথে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটে সে জন্য করণীয় সম্পর্কে একটি সুপারিশমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। দুটিই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেওয়া হবে।

তথ্য মতে, গত ৩১ আগস্ট টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে সদস্য করা হয়েছিল কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন এবং সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের একজন প্রতিনিধিকে।

তবে এর পরদিনই (৩ আগস্ট) তদন্ত কমিটি ৪ সদস্য বিশিষ্ট করে পুনর্গঠন করা হয়। এতে কমিটির প্রধান করা হয় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে। আর সদস্য করা হয় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন, সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাজাহান আলীকে।

গত ৩ আগস্ট তদন্ত কমিটি আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করে। এসময় কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সরকার ৭ কর্মদিবস সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়। প্রথম দফায় ২৪ আগস্ট পর্যন্ত, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিতে আরো ৭ দিনের সময় চায় এবং তা বাড়ানো হয় ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত ৩ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল।

পাঠকের মতামত: