কক্সবাজার, রোববার, ১৯ মে ২০২৪

আজ বিশ্ব গাধা দিবস

 

‘গাধা’ শব্দটি হরহামেশাই ব্যবহার হয় মানুষের ক্ষেত্রেও। কেউ একটু বোকামি করলেই তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করতে ছাড়েন না অন্যরা। এমনকি যারা খুব বেশি পরিশ্রম করেন তাদের কাজকে অনেকেই বলেন গাধার খাটুনি খাটছে লোকটা। এ থেকেই বোঝা যায় এই প্রাণীটি কতটা পরিশ্রম করে মনিবের জন্য। এই পরিশ্রমী প্রাণীটিকে তাই তো উৎসর্গ করা হয়েছে গোটা একটি দিন। এই প্রাণীটিকে আজ ভালোবাসার দিন, সম্মান জানানোর দিন। আজ ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস।

২০১৮ সালে প্রথম এই দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস। এই দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।

গাধার দুটি প্রজাতি। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপপ্রজাতি এবং এগুলো হলো- সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। ইতিহাস বলছে, ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মানব সেবার কাজ করছে গাধা।

চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশের আর কোথাও গাধা নেই

‘দেশে কোনো গাধা নেই ছাগল বেড়েছে’ এই শিরোনামে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক দেশ রূপান্তর। প্রতিবেদনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক প্রশাসন ডা. পল্লব কুমার দত্ত জানান, চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশের আর কোথাও গাধা নেই।

ওই প্রতিবেদনে ডা. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশে কোনো গাধা নেই। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশে ভেড়া, গরু, ছাগল, মহিষসহ হাঁস-মুরগির সংখ্যা বাড়ছে। প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাধা প্রতি ঘণ্টায় ৩১ মাইল পর্যন্ত হাঁটতে পারে। গাধার গড় আয়ু ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে হয়।

রাজবাড়ী প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে রাজবাড়ী জেলায় কোনো গাধা ছিল না, এমনকি ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলায় কোনো গাধা নেই। তবে ২০১৩ সালে রাজবাড়ীতে হরিণের খামার না থাকলেও বর্তমানে কালুখালী উপজেলায় একটি খামারে ৮টি হরিণ রয়েছে।

দেশে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে গবাদিপশুর সংখ্যা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫৬ হাজার গবাদিপশু ছিল। অথচ ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার। ১০ বছর আগে গবাদিপশু ছিল ২ কোটি ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার। পিছিয়ে নেই দেশের পোলট্রি খাত। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৩৮ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার হাঁস-মুরগির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। অথচ এক বছর আগে এর সংখ্যা ছিল ৩৭ কোটির ঘরে।

পাঠকের মতামত: