কক্সবাজার, রোববার, ১৯ মে ২০২৪

মৌসুম শুরুর সাথে বাড়ছে পর্যটক

মৌসুম শুরুর সাথে সাথে কক্সবাজারে বাড়ছে পর্যটক। এদিকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে অন্যন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেক সহ বিভিন্ন পয়েন্টে জমায়েত হয়েছে লাখো পর্যটক। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকদের ভিড় রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ টেকনাফের সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ মন্দির সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। আগত পর্যটকরা সাগরে গোসল আর ভ্রমণের মধ্য দিয়ে উপভোগ করছে পর্যটন রাজধানীর প্রকৃতির সৌন্দর্য। এতে আনন্দিত দেশি-বিদেশী পর্যটকরা।
ভারতীয় পর্যটক রোহান জানান, তিনি বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতে গিয়েছেন। কিন্তু কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত তার কাছে সবচেয়ে সুন্দর লেগেছে। এখানে না আসলে বুঝতে পারতেননা এই সমুদ্র সৈকত এত সুন্দর।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, সময় পেলেই কক্সবাজার ভ্রমনে আসা হয়। এখানে যতবার আসি তত বারই ভাল লাগে। বিশেষ করে বিশাল সমুদ্র। তবে সমুদ্র সৈকতের বাহিরেও পর্যটকদের বিনোদনের জন্য ভিন্ন কিছু করা উচিৎ।
পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনের প্রসঙ্গে জেলা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান জানান, ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বাড়তি সেবা প্রদানে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। সাগরে গোসল করতে নামা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য লাইফগার্ড সহ বীচ কর্মীরা দায়িত্বরত রয়েছে। এছাড়া খাবার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যটকদের বিশেষ ছাড় রয়েছে।
শহরের সাড়ে ৪ শ’ এর অধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজে ইতিমধ্যে বুকিং সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এসব পর্যটকদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া সহ সেবা প্রদানে অঙ্গিকারবন্ধ পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

পাঠকের মতামত: