কক্সবাজার, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সেনেগালকে কাপ জিতিয়ে আক্ষেপ ঘুচলো সিসেরও

২০০২ সালে প্রথমবার আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে ওঠে সেনেগাল। ক্যামেরুনের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি গড়ায় শুটআউটে। সেবার মিশরের মাটিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পেনাল্টি মিস করে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পোড়েন সেনেগালের অধিনায়ক আলিয়ু সিসে। ২০ বছর পর দলের কোচ হিসেবে আরেকটি পেনাল্টি শুটআউটে আক্ষেপ ঘুচলো তার। সেটা ওই মিশরের বিপক্ষেই।
সেনেগালের হয়ে ১৯৯৯-২০০৫ পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচ খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার সিসে। ২০১৫ সালে জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন তিনি। নেশন্স কাপের গত আসরে শিরোপার খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হয় সিসের দল। ফাইনালে হেরে যায় আলজেরিয়ার কাছে।

এবার মিশরকে হারিয়ে পাওয়া ট্রফিটা সেনেগালের মানুষকে উৎসর্গ করলেন সিসে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন। অনেক দীর্ঘ সময়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আসতে হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনো হাল ছাড়িনি। আমি এই জয় উৎসর্গ করছি সেনেগালের জনগণকে। অনেক বছর ধরেই আমরা এই কাপের স্বপ্ন দেখে আসছি। আজ আমরা জার্সিতে একটি তারকার ছাপ রাখতে সক্ষম হলাম।’
রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশরকে হারিয়ে পাওয়া জয়কে স্পেশাল বলছেন সিসে। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকান নেশন্স কাপ জেতার একটা বিশেষ অর্থ রয়েছে। আর আফ্রিকার সবচেয়ে সফল দলের বিপক্ষে পাওয়া জয়টা আরেকটি মাহাত্ম্য বহন করে।’
সিসে এই অর্জনের ভাগিদার করলেন তার সহকর্মীদেরও। তিনি বলেন,‘প্রায় সাত বছর ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। অসাধারণ অর্জন, বন্ধুরা!’
মিশরের গোলরক্ষক মোহাম্মদ আবু গাবাল, যিনি গাবাস্কি নামেই সমধিক পরিচিত, ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াবো। আমাদের দিন ছিল না। পরবর্তীতে আমরা আরো ভালো ফল দেখবো।’
সেমিফাইনালে লালকার্ড দেখায় এই ম্যাচে ডাগআউটে ছিলেন না মিশরের কোচ কার্লোস কুইরোজ। তিনি ম্যাচ দেখেন গ্যালারি থেকে। তার সহকারী দিয়া আল সায়েদ বলেন, ‘সালাহ বিশ্বমানের খেলোয়াড়। সে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ টুর্নামেন্ট (চ্যাম্পিয়নস লীগ) জিতেছে। কিন্তু সালাহ সত্যিই দেশের হয়ে কাপ জিততে চেয়েছিল। আমরা চাই, তাকে নিয়ে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে। লক্ষ্যপূরণ না হওয়ায় খুবই হতাশ সে।’

পাঠকের মতামত: