কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ধামরাইয়ে রোহিঙ্গা তরুণীকে ধর্ষণ, জনতার হাতে আটক ধর্ষক

ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নে এক রোহিঙ্গা যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষণকারীকে এলাকাবাসি আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের পটল গ্রামের একটি ক্ষেতের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে।

ধর্ষণকারী আবুল কালাম আজাদ(৪২) উপজেলা বাইশাকান্দা ইউনিয়নের পটল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত তুলা মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নাম ঠিকানা না জানা রোহিঙ্গা যুবতী(২০) গত তিন ধরে রুঘুনাথপুর এলাকায় পাগল বেশে চলাফেরা করছিল। ধর্ষণকারী আবুল কালাম আজাদ নাম ঠিকানা না জানা মেয়েটিকে ভুল বুঝিয়ে একটি নৌকায় করে নিয়ে পটল গ্রামের একটি ফসলি জমিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে কালাম। এই ঘটনায় রোহিঙ্গা যুবতীর ডাক-চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে দৌড়িয়ে পালানোর সময় হাতেনাতে আবুল কালাম আজাদকে আটক করে। পরে ধামরাই থানায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে রোহিঙ্গা মেয়েটি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।

তবে মেয়েটিকে তার ঠিকানার কথা জানতে চাইলে সে শুধু তার বাবার নাম জালাল মাঝি ও নিজের নাম বলতে পারছে। তবে ঠিকানা বলতে পারছে না। তবে সে বলছে তার মা-বাবা কেউ নেই। তারা দুই ভাই পাঁচ বোন, তারা কোথায় থাকে তাদের গ্রামের বাড়ি কোথায় কিছুই বলতে পারে না। তবে তারা নদী পার দিয়ে এদেশে এসেছে এটুকু বলতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই বিষয়ে ধামারই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষিতার ভাষা শুনে মনে হয় মেয়েটি রোহিঙ্গা।

পাঠকের মতামত: