কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

রোহিঙ্গাদের তিন লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দিল দক্ষিণ কোরিয়া

ইকরাম চৌধুরী টিপু, কক্সবাজার::

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য ডব্লিউএফপি বাংলাদেশকে তিন লাখ মার্কিন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার ডব্লিউএফপির দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। এরই মধ্যে অনুদানের টাকা আজ বুধবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডব্লিউএফপিকে হস্তান্তর করেছে দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত ৩৪টি ক্যাম্পেই রোহিঙ্গাদের ডব্লিউএফপি থেকে শতভাগ সহায়তা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ক্যাম্প সংলগ্ন আরো প্রায় চার লাখ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ডব্লিউএফপি থেকে পুষ্টি সহায়তা, ইঞ্জিনিয়ারিং সহায়তা, স্কুল ফিডিং সহায়তা ও আত্মনির্ভরশীলতা বা জীবিকা বিষয়ক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রিচার্ড রেগান বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীরা পুরোপুরি বাহিরের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তাদের জন্য আমাদের সহযোগিতা করায় দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দাতাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপিকে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিতীয়বারের মতো তারা রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান দিল বলে জানান কাট্রি ডিরেকটর রিচার্ড রেগান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনুদান দেওয়ার ঘোষণার পর দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায়, বিশেষত ডব্লিউএফপির মাধ্যমে কোরিয়া সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছে। কোরিয়া সরকার আশা করে এই অনুদানের ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি তাদের আশ্রয় দানকারী বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীও উপকৃত হবে।

২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক’ কর্মসূচিতে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপিকে সহায়তা দিয়ে আসছে। কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কইকা) মাধ্যমে দেশটি বহুবার্ষিক সহায়তা করেছে ডব্লিউএফপিকে। তাদের সেই সহযোগিতায় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে ডব্লিউএফপিকে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৪৬ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদান, যা দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলায় একটি চার বছর মেয়াদি দুর্যোগ সহনশীলতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আর এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এই বছরে হওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকির সন্মুখীন পরিবারগুলো অত্যন্ত কার্যকরভাবে উপকৃত হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: