কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরে মাদক পাচার করতে গিয়ে মারধরের শিকার রোহিঙ্গা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদক পাচার করতে এসে পাচারকারী সদস্যদের মারধরের শিকার হয়েছেন এক রোহিঙ্গা। মারধরের একপর্যায়ে তাকে চেতনানাশক খাইয়ে সড়কের পাশে ফেলে রেখে যান তারা। স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই রোহিঙ্গা সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

মারধরের শিকার ওই রোহিঙ্গার নাম রুবেল মোহাম্মদ (২২)। তিনি মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলের মুন্ডু এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পানবাজার ২ নম্বর ক্যাম্পে বসবাস করেন।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মারুফ শেখ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট এলাকায় অচেতন অবস্থায় একজন পড়ে আছেন বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তিনি গ্রামপুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসমাউল হুসনা বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে পরিচয় দেন। পরে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি রেখে শ্রীপুর থানার খবর দেওয়া হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গা যুবক রুবেল মোহাম্মদ বলেন, বুধবার (১ মার্চ) মাদক পরিবহনের জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা বেতনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। সম্প্রতি ট্রাকচালক নুর মোহাম্মদ ও আরও দুই রোহিঙ্গা যুবক সবুজ ও সাহিদ তাকে নিয়ে ট্রাকে করে ময়মনসিংহ আসেন। পরে দুই কার্টন ইয়াবা ও গাঁজাসহ তাকে নামিয়ে দেন। মাল নামানো শেষে একটি বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর তাকে ট্রাকের মধ্যেই মারধর করা হয়। পরে চেতনানাশক খাইয়ে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গোলাঘাট এলাকায় বাজারের উত্তরে রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে যান। তবে ময়মনসিংহের কোথায় ইয়াবা ও গাঁজা নামানো হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ওই যুবককে হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হবে।

পাঠকের মতামত: