কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় ২ হাজার লিটার অকটেনসহ গ্রেফতার ২

কক্সবাজারের উখিয়ার দক্ষিণ ডেইলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মায়ানমারে অকটেন পাচারকালে বিপুল পরিমাণ অকটেনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৮৯০ লিটার অকটেন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অকটেনের আনুমানিক বাজারমূল্য দুই লাখ ছত্রিশ হাজার দুইশত টাকা। এছাড়া পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক মো. আবু সালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন উখিয়ার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আজিম উল্ল্যাহ (৩৫) ও উখিয়ার কোটবাজার এলাকার দিপু বড়ুয়া (৩৫)।

র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫ জানতে পারে চোরাকারবারী দু’টি ডাম্পার যোগে জ্বালানী তেল অকটেন উখিয়া থেকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক হয়ে ইনানী দিয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৫, সিপিএসসি ক্যাম্পের আভিযানিক দল উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইল পাড়া এলাকায় মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে। চেকপোস্টে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে পাচার কাজে ব্যবহৃত দু’টি ডাম্পার গাড়ি (চট্ট-মেট্রো-শ-১১-৩৭৪৯ এবং চট্ট-মেট্রো-শ-১১-২০৬৭) জব্দ করা হয়। এছাড়া দুই পাচারকারী গ্রেফতারসহ ৪২টি ড্রামে সর্বমোট ১৮৯০ লিটার অকটেন উদ্ধার করতে সক্ষম হয় আভিযানিক দল। উদ্ধারকৃত অকটেনের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ (দুই লাখ ছত্রিশ হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আটককৃত দু’জনই জব্দকৃত ডাম্পার গাড়ি দু’টির হেলপার এবং গাড়ি দু’টির চালক র‌্যাবের চেকপোস্টের বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানায়। এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত অকটেন পাচারের মূলহোতা ও চালকদের নাম-ঠিকানা সংক্রান্তে তথ্য পাওয়া যায়। অকটেন পাচারের মূলহোতা বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প হতে পাইকারি দামে অকটেন ক্রয় করে পলাতক চালকরা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে মিয়ানমারে পাচারের জন্য সমুদ্রের বিভিন্ন চ্যানেল পর্যন্ত নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে সাগর পথে মিয়ানমারে পাচার করে আসছিল বলে জানা যায়।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

পাঠকের মতামত: