কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান, ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ

কক্সবাজারে জামায়াতের ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারিসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টির লক্ষ্যে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। এসআই মোহাম্মদ সাঈদ নূর ২৫ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- জেলা জামায়াতের আমির ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ আনোয়ারী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম নোমান, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, শহর শাখার আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল, সদর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা আমির ফজলুল্লাহ মো. হাসান, সেক্রেটারি আনম হারুন, ঈদগাহ উপজেলা আমির মাওলানা সলিমুল্লাহ জিহাদী, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মো. মোহসিন।

আরও আসামি করা হয়েছে, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে আবুল কাশেম, মুহুরী পাড়া এলাকার তাহের সিকদার, চান্দের পাড়া কলেজ গেট এলাকার আল আমিন, খুরুশকুল ফকিরপাড়ার সেলিম উদ্দিন, নূর মোহাম্মদ ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য জাকির হোসাইনকে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে জামায়াত-শিবিরের ২০০ জন নেতাকর্মী কক্সবাজার শহরের কালুর দোকান গ্যাস পাম্পের সামনে যানবাহন ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও সাধারণ লোকজন এগিয়ে এলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫টি লোহার রড, ১৫টি কাঠের লাঠি, ১০ টুকরো কাঁচ ও বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ জব্দ করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী এসআই সাঈদ নূর বলেন, ২৪ ডিসেম্বর ঘটনা ঘটেছে। পরদিন মামলা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত জামায়াত আমির নূর আহমদ আনোয়ারী সমকালকে বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণ মিছিল করেছি। কোনো পুলিশকে দেখিনি। দলীয় কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করতে এই গায়েবি মামলা। স্থানীয় মান্না-সালওয়া রেস্টুরেন্টের মালিক ছৈয়দুল হক বলেন, ওই দিন সকাল সাড়ে ৬টায় দোকান খুলি। ৮টার দিকে জামায়াতের মিছিল পূর্বদিক থেকে এসে পশ্চিম দিকে চলে যায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ কিংবা যানবাহন ভাঙচুর হয়নি।

পাঠকের মতামত: