কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারে হচ্ছে বিশ্বমানের সি অ্যাকুরিয়াম

 

ব্লু ইকোনমির (সমুদ্র অর্থনীতি) অবদানে উন্নত বাংলাদেশ নিশ্চিত হবে উল্লেখ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিকমানের একটি সি অ্যাকুরিয়াম করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ-সংক্রান্ত প্রকল্পের কাজ সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে জিডিপি ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এখন আট শতাংশ আছে, বাকি দুই শতাংশ পূরণের জন্য সমুদ্র ছাড়া অন্য কোনো খাত নেই। তাই দুই শতাংশ জিডিপির হার হতে পারে সুনীল অর্থনীতি।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপে অবস্থিত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন’ উপস্থাপন নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান।

জিয়াউল হাসান আরও বলেন, সমুদ্র থেকে খনিজ সম্পদ ও মৎস্য সম্পদ আহরণে আধুনিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বায়ু বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্রকেন্দ্রিক ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিঙ্গি নৌকায় আর সমুদ্র গবেষণা নয়, গবেষণার জন্য একটি অত্যাধুনিক জাহাজ কেনা হচ্ছে। একই সঙ্গে গভীর সমুদ্রের তলদেশে বিশদ গবেষণার জন্যও আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার উদ্যোগ চলছে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ব্লু ইকোনমির কল্যাণে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতি জি-২০টি দেশের সমপর্যায়ে পৌঁছাবে। ২০৫০ সালে ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশিরা পৃথবীর যে কোনো দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দারের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ কাউসার আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশেদ উন নবী প্রমুখ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বোরির ডিজি সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার। সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত সাত বিজ্ঞানী তাদের বার্ষিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

পাঠকের মতামত: