কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে বাবা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জামতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহত রাশেদুল হক ব্যাপারী (৪২) শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দাতপুর গ্রামের আবুল হোসেন ব্যাপারীর ছেলে। তিনি শরীয়তপুর জজকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রাশেদুলের দুই বছরের মেয়ে মাইশাও এ ঘটনায় নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন রাশেদুলের স্ত্রী মিলি আকতার, তার বড় মেয়ে মেবিন আকতার ও গাড়িচালক কামরুল হাসান।

 

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, পরিবার নিয়ে ভ্রমণের জন্য গত বুধবার কক্সবাজারে যান রাশেদ। ভ্রমণ শেষে শনিবার ঢাকা হয়ে শরীয়তপুরে ফেরার পথে জামতলা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ন। কক্সবাজার থেকে চালক কামরুল সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে চালককে বিশ্রাম দিতে রাশেদুল নিজেই ড্রাইভ করে ঢাকা থেকে শরীয়তপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত ৩টার দিকে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের জামতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় পানিতে তলিয়ে গাড়িতেই আটকা পড়ে চালকসহ রাশেদুলের পরিবার। পরে গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসেন কামরুল। আরও দুটি কাচ ভেঙে রাশেদুলের স্ত্রী ও বড় মেয়েকে উদ্ধার করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়িতে আটকে থাকা রাশেদুল ও তার দুই বছরের মেয়ে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করেন কামরুল। রবিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি দাতপুর নিয়ে যায় পরিবার।

 

রাশেদুল হক রাশেদের ভাগ্নে বলেন, আমার মামা তার পরিবার নিয়ে কক্সবাজার থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। পদ্মা সেতু এলাকায় এসে মামা গাড়ির চালককে পেছনে বসতে বলে নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জাজিরা মহাসড়কের দাতপুর এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি খাদে পড়ে যায়।

 

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন জানান, রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনা এবং পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: