কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় জরিমানা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এবারই প্রথম ব্যবসায়ীরা তরমুজ কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে হওয়ায় ৪০০-৫০০ টাকার নিচে কোনও তরমুজ কিনতে পারছিলেন না ক্রেতারা।

ক্রেতাদের এ নিয়ে ক্ষোভ আর নানা প্রশ্ন তৈরি হলে আলফাডাঙ্গার তরমুজ বাজারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রমাণ পান তরমুজ ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে আড়ত থেকে তরমুজ কিনে ক্রেতাদের কাছে কেজি হিসেবে তা অধিক দামে বিক্রি করছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তরমুজ ব্যবসায়ী একলাচ মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়। সবাইকে পিস হিসেবে সহনীয় মূল্যে তরমুজ বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে বারবার সতর্ক করার পরেও দোকানে মূল্য তালিকা না টানানোর অপরাধে বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. জুদ্দু শেখকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল ইসলাম জানান, গরমের সুস্বাদু ফল তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে বিক্রি করছিল। তরমুজ ব্যবসায়ীরা তরমুজ কম দামে পিস হিসেবে কিনে সাধারণ মানুষের কাছে খুচরা কেজি দরে বিক্রি করে আসছিল। সিন্ডিকেট করে প্রতি কেজি তরমুজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি করছিল। এতে একটি তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এ ধরনের অভিযান সব সময় অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আরও জানান।

এদিকে গতকাল সোমবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথী মিত্র, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আক্তার এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. সোহেল শেখ যৌথভাবে ফল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

পাঠকের মতামত: