কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে বন্যপ্রাণী, ৪ মৃত হরিণ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের হরিণসহ অনেক বন্যপ্রাণী পানির তোড়ে ভেসে গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে ৪টি হরিণ ও বিলুপ্ত প্রজাতির একটি ইরাবতী ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সুন্দরবন বিভাগ। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন মঠবাড়ীয়া উপজেলার লোকালয় থেকে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া ২টি হরিণ জীবিত উদ্ধার করেছে গ্রামবাসীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ৬ ফুট বৃদ্ধি পায়।

জলোচ্ছ্বাসে প্রবল স্রোতে বনের বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বন্যপ্রাণীর ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। রামপালের বগুড়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ৩টি ইউনিয়নের ২০০ পরিবার এখনো পানিবন্দী রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরর্বতী অস্বাভাবিক জোয়ারে তলিয়ে গেছে মোংলার ১২টি গ্রামের ৮০০ পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মোংলা উপজেলার পশুর নদীর তীরবর্তী চিলা ইউনিয়নের জয়মনি, সুন্দরতলা, কলাতলা, কাটাখালকুল, চাঁদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী, কানাইনগর ও বুড়িরডাঙ্গার মহিদাড়া, শেলাবুনিয়া, সানবান্ধা, বিদ্যারবাহনসহ ১২টি গ্রাম। বৃহস্পতিবার রামপাল ও মোংলায় পানিবন্দী এসব এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেন স্থানীয় এমপি এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

এদিকে, বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাগেরহাটে ভেসে গেছে ৫ হাজার চিংড়ি ঘেরের প্রায় কয়েক কোটি টাকার চিংড়ি। বুধবার ও বৃহস্পতিবার জোয়ারের পানিতে এসব মাছের ঘের ভেসে যায়।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার মাছ চাষিরা। জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে।

পাঠকের মতামত: