কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

তাওবার মধ্য দিয়ে কবীরা গুনাহ মাফ চাইতে হবে

তাওবাহ অর্থ প্রত্যাবর্তন করা, ফিরে আসা। ইসলামের পরিভাষায় তাওবাহ হচ্ছে বান্দা কৃত অপরাধের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে ইসতিগফার কামনা করত সত্য-সঠিক পথে ফিরে আসা। গুনাহ মাফ করতে পারা রমজানুল মোবারকের বড় সাফল্য। কবীরা গুনাহ তথা বড় বড় গুনাহ থেকে মাফ পেতে হলে অবশ্যই তাওবা করতে হবে।

হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে, শিরক তথা আল্লাহ পাকের সাথে যে কোন কিছুকে যে কোনভাবে অংশীদার মনে করা, ধর্ষণ-ব্যভিচার, হত্যা-অপহরণ, সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, যাদু-টোনা, মদ-জুয়া, সতী-সাধ্বী নারীর চরিত্রে অপবাদ লেপন করা প্রভৃতি কবীরা গুনাহ। এ গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হবে না। তাওবা মানে ফিরে আসা।

ইসলামের পরিভাষায়, তাওবা হচ্ছে কৃত অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিধানের দিকে ফিরে আসা। তাওবার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেন, “হে ঈমানদারগণ ! তোমরা সবাই তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে এস, যাতে করে তোমরা সফল হতে পার। (সুরা আন্ নুর-৩১) ( সুরা মায়েদা-৭৪)

তাওবাহ সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে: “মু’মিন ব্যক্তি নিজের পাপরাশিকে মনে করে যেন সে কোন পতনোম্মুখ পাহাড়ের তলদেশে বসে আছে, যা সহসা তার উপর ভেঙ্গে পড়বে। আর পাপিষ্ঠ তার গুনাসমূহকে মনে করে নাকের উপর পতিত হওয়া একটা মাছির মত (অত্যন্ত মামুলি ব্যাপার)। যা হাত দিয়েই তাড়িয়ে দেয়া যায় (মিশকাত)।”

তাওবা করার নিয়ম হচ্ছে, পাক-পবিত্রতা হাছিল করে বান্দাকে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর শাহী দরবারে নিজের কৃত অপরাধ স্বীকার করতে হবে। অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে জাহান্নামের শাস্তির ভয়ে অশ্রুপাত করতে হবে। বিনয়-নম্রতা সহকারে খালিছ মনে ক্ষমা প্রার্থনা করত: ভবিষ্যতে এ অপরাধ আর না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তাওবার জন্য কিছু কাফফারা- নফল নামাজ, নফল রোজা ও দান-সাদকা করতে পারলে ভাল হয়।

পাঠকের মতামত: