তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়াল। এ ছাড়া দুই দেশে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই খবর দিয়েছে।
সিএনএন জানায়, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দেশ দুটিতে মোট ১৭ হাজার ১৭৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ১৪ হাজার ১৪ জন এবং সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জনের মৃত্যু হয়। আর সিরিয়ায় নিহতদের মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১২৬২ জন এবং বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ১৯০০ জন রয়েছে।
সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, হতাহতের সংখ্যা আরও গুরুতরভাবে বাড়তে পারে। বিশেষ করে সিরিয়ায়। অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রচন্ড ঠান্ডায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি আফটার শকের শঙ্কাও কাজ করছে।
তুরস্কের কাহরামানমারস শহরে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি ভবন।
তুরস্ক-সিরিয়া ধ্বংসস্তূপ : কান্নারও কেউ নেই
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে মানবিক সংস্থাগুলোর সামনে এখন তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ আসছে।
আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ইনসিডেন্ট রেসপন্স ম্যানেজার রবার্ট হলডেন বলেন, এখন হাজার হাজার মানুষ খোলা জায়গায়, খারাপ ও ভয়াবহ অবস্থায় বেঁচে আছে। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিতসহ পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই।
তুরস্কের কাহরামানমারস শহরে ভূমিকম্পে ধসে পড়া একটি ভবন।
কেন এত ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী হলো তুরস্কের ভূমিকম্প
হলডেন বলেন, আমরা সেকেন্ডারি বিপর্যয় মুখে পড়ার প্রকৃত ঝুঁকিতে আছি। আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা যে গতিতে চালিয়েছি সেই একই গতিতে এগিয়ে না এলে, ভূমিকম্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে অধিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
তিনি বলেন, এটা সহজ কোনো কাজ নয়… এই কাজের মাত্রা ব্যাপক।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।
পাঠকের মতামত: