কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দেশে একদিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৯৬৪ জন। এখন পর্যন্ত একদিনে মৃত্যু ও শনাক্তে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪২ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ হাজার ২টি। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮১ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯ জনের।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৮২ জন।

নতুন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪২৫০, ময়মনসিংহে ৩৮৯, চট্টগ্রামে ১৩৬৭, রাজশাহীতে ১১২৩, রংপুরে ৬৭৬, খুলনায় ১৪৭০, বরিশালে ৪৩৬, সিলেটে ২৫৩ জন রয়েছেন।

এছাড়া মৃত্যু ১৬৪ জনের মধ্যে ১০৯ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী। এরমধ্যে খুলনায় ৫৫, ঢাকায় ৪০, চট্টগ্রামে ১৮, রাজশাহীতে ১৬, বরিশালে ৯, সিলেটে ৮, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ২ জন মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৫ হাজার ২২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৭৮৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৪৪৪ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৮৩ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪৭, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৮, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২ এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ৪ জন রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ

গত ২৪ ঘণ্টায় আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬৭ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৪০ জনের। এছাড়া হাসপাতালটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।

প্রসঙ্গত, কোভিড ও নন কোভিড রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি দুটি বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মরত প্রত্যেকের আলাদা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা চিকিৎসা ছাড়া অন্য সকল চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতই চলমান রয়েছে।

পাঠকের মতামত: