কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

দেশে কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

মৌসুমি বায়ু বিরাজমান থাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
দেশে কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর (পুন) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

পরবর্তী দু’দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। পরের পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সন্দ্বীপে সর্বোচ্চ ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সন্দ্বীপে ৮৭, হাতিয়ায় ৬৩, ফেনী, টেকনাফ ও তেঁতুলিয়ায় ৫০, মাইজদীকোর্টে ৪৬, পটুয়াখালীতে ৩৭, সৈয়দপুরে ৩৬ এবং চট্টগ্রামে ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় মাত্র ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন  সন্দ্বীপে ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিন্ম ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উড়িষ্যা উপকূল এবং এর কাছাকাছি উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

পাঠকের মতামত: