কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্য

বিগত বছরে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। দ্বিপক্ষীয় এ বাণিজ্যের পরিমাণ অতিক্রম করেছে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকায় অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ০৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২১ সালের চেয়ে ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে এর পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গত বছর বাংলাদেশ কোরিয়ায় পণ্য রফতানি করেছে ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর আগের বছর এ পরিমাণ ছিল ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ সালে রফতানির পরিমাণ বেড়েছে ২২ দশশিক ৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, ২০২১ সালে কোরিয়া থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি করেছিল ১ দশমিক ৬৩৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে আমদানি করা হয়েছে ২ দশমিক ৩৫৭ বিলিয়ন ডলারর পণ্য। আমদানি বেড়েছে ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ।

২০০৭ সালে কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। এরপর দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের রফতানির পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়ায়। আর ২০১৩ সালে এর পরিমাণ হয় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এদিকে বেশ কয়েক বছর স্থবির থাকার পর করোনা মহামারি চলাকালে ২০২০ সালে কোরিয়ায় রফতানি কমে যায়। আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ৩৯৩ মিলিয়ন ডলার হয়।

তবে ২০২১ সালে ৫৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রফতানির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। আগের বছরের তুলনায় রফতানি বাড়ে ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২২ সালে রেকর্ড রফতানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।

কোরিয়ায় বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য হলো তৈরি পোশাক, খেলাধুলার সামগ্রী ও ব্রোঞ্জ স্ক্র্যাপ। আর বাংলাদেশে মেশিনারি, পেট্রোক্যামিকেল পণ্য, ইস্পাত ও কীটনাশক রফতানি করে থাকে কোরিয়া।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ২০২৩ সালে কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পরস্পরকে সহায়তার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সাল থেকে কোরিয়ার আগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য নীতির সুযোগ পেয়ে কোরিয়ার বাজারে ৯৫ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্তভাবে রফতানি হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: