কক্সবাজার, রোববার, ৫ মে ২০২৪

নেতৃত্বে প্রস্তুত সাকিব

ভেতরে ভেতরে অধিনায়ক নির্বাচিত হয়ে থাকলেও তা ঘোষণা করা হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গণতান্ত্রিক রূপ দিতে তা চাপা রাখা হয়েছে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের আজকের সভার জন্য। তবে সাকিবই যে টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরছেন, এ নিয়ে কারও মনে কোনো দ্বিধা নেই। সংশয় ছিল শুধু একটি ব্যাপারে, সাকিব নিয়মিত টেস্ট খেলবেন তো? যদি কোনো টেস্ট না খেলে ছুটি চেয়ে নেন তিনি?

সাকিবকে ঘিরে এসব সংশয় দূর করেছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানিয়েছেন, বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চান। দেশে বা বিদেশে যেখানেই খেলা হোক, সাকিব ফিট থাকলে খেলবেন বলে বিশ্বাস তার। বিসিবির উচ্চপর্যায়েও নাকি সাকিব আশ্বস্ত করেছেন এই বলে যে, তিনি ফিট থাকলে সব টেস্টেই খেলবেন এবং আজকের বোর্ড সভায় সাকিবের কাছেই ‘সহ-অধিনায়ক’ কে হবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

সাকিবের অধিনায়কত্ব পাওয়ার বিষয়টি আরও পরিস্কার করে দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তাই টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকেই প্রথম পছন্দ সুজনের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে সাকিবের একাগ্রতা সুজনের বিশ্বাসের ভিত আরও মজবুত করেছে। আজকের সভায় অধিনায়ক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থাকলেও সহ-অধিনায়ক বেছে নিতে একটু সময় লাগতে পারে বলে মনে করেন সুজন। কারণ, ডেপুটি বেছে নিতে সাকিবের পছন্দকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। বিসিবি সভাপতি সাকিবের মতামত জেনে থাকলে সেটা আজও হয়ে যেতে পারে।

সাকিবকে অধিনায়ক করা হলে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত খেলার একটা বাধ্যবাধকতাও চলে আসবে। একই মত সুজনেরও, ‘সাকিব সব সময় বলে ও টেস্ট খেলতে চায়। আমি জানি না এই কথাটা (টেস্ট খেলতে চায় না) বারবার কেন আসে। সাকিবের সঙ্গে যতবার কথা বলি, সে বলে, আমি অন্য ফরম্যাটের চেয়ে টেস্ট বেশি খেলতে চাই। সাকিব দায়িত্ব নিলে আমার মনে হয় তাঁরও একটা পরিবর্তন আসতে পারে। আমি যেটুকু জানি, সাকিব টেস্ট খেলতে চায়।’

ফলো করুন-
আইসিসির নিষেধাজ্ঞার আগে তিন সংস্করণেই নিয়মিত ছিলেন সাকিব। সুজন চান অভিজ্ঞতা এবং ক্রিকেট মেধা বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, ‘অনেক কথা হতে পারে। সিনিয়র ছেড়ে জুনিয়রে যাব কিনা, আলোচনা হতে পারে। যাকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক, আমি মনে করি অন্তত দুই বছর দিলে ভালো। সেটার জন্য কে প্রস্তুত আছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’

বাংলাদেশে ক্রিকেটে এ মুহূর্তে অধিনায়কের চেয়েও সহ-অধিনায়ক বেছে নেওয়া কঠিন কাজ। জাতীয় দলে দীর্ঘদিন সহ-অধিনায়ক না রাখায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়েই সহ-অধিনায়ক পদেও একজনকে দেখা যাবে বলে জানান সুজন, ‘একজন করে সহ-অধিনায়কের কথা চিন্তা করছি। ছেলেগুলোকে গড়ে তোলা, সে যাতে ফিল করে দল নির্বাচনে সেও অংশ নিচ্ছে। তারও মতামত থাকবে। চাপ নেওয়ার সামর্থ্য কার কত, সেটাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’

সহ-অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হাসান শান্তর নাম শোনা যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত: