কক্সবাজার, সোমবার, ৬ মে ২০২৪

পদোন্নতি পেলেন মাধ্যমিকের ২৩৩ শিক্ষক-কর্মকর্তা

সরকারি মাধ্যমিকের ২৩৩ জন শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকেও প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদোন্নতি সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই পদোন্নতির ফলে মাধ্যমিকের শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই প্রজ্ঞাপন জারির আগে কোনো শিক্ষক/কর্মকর্তা অবসরত্তোর ছুটি ও মৃত্যুবরণ করলে এই আদেশ তাদের জন্য কার্যকর হবে না।

এ দিকে পদোন্নতির খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মাধ্যমিকের শিক্ষক ও কর্মকর্তরা। তারা বলেন, দীর্ঘদিন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছিল আজকের প্রজ্ঞাপনে বিদ্যালয়গুলো ভারমুক্ত হলো।

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, পদোন্নতিযোগ্য ৪২৩ জন শিক্ষকের তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তবে অনেকের চাকরি জীবনে সমস্যা ও বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনে (এসিআর) সমস্যা থাকায় ডিপিসি সভায় অনেকেই পদোন্নতিযোগ্য হতে পারেননি। সর্বশেষ সভায় ২৩৪ জনের পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৩৩ জনের পদোন্নতি দিয়ে তালিকা প্রকাশ করলো।

সারাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি বিদ্যালয় আছে ৩৫১টি। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক দিয়েই গোজামিলে চলছে কাজ। সম্প্রতি এই অচলাবস্থা দূর করতেই বিশেষ এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর আগে সরকার ফিডারপদ পূর্ণ না হওয়ায় এ পদে পদোন্নতি দেয়া যায়নি।

নিয়ম অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হতে হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঁচ বছর কর্মরত থাকার বিধান ছিল। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এমন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন না থাকায় পদোন্নতি দেয়াও সম্ভব হচ্ছিলো না। কিন্ত ৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতার যে নিয়ম ছিলো তা প্রমার্জন করে পদোন্নতি দিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন সরকারি মাধ্যমিক চলছিলো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের উপর ভর করে। এছাড়াও জেলা পর্যায়ে ছিলো না জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। আশা করা হচ্ছে সামনে নতুন শিক্ষকদের যোগদান ও এই পদোন্নতি সম্পন্ন হলে সরকারি মাধ্যমিকে গতি ফিরবে।

পাঠকের মতামত: