কক্সবাজার, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

কক্সবাজার শহরের প্রাণ হিসেবে পরিচিত বাঁকখালী নদীর তীরে অবৈধভাবে দখলের পর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা অবশেষে উচ্ছেদ শুরু করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে নদীর কস্তুরাঘাটস্থ মোহনা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটিএসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের প্রাণ হিসেবে পরিচিত বাঁকখালী নদীর তীরে প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরির তালিকায় ব্যবসায়ী, প্রভাবশালীরা রয়েছেন। শুধু তাই নয়, নদীর তীরে ৬শ’ হেক্টর প্যারাবন নিধন করে একে একে চলছে স্থাপনা নিমার্ণের কাজ।

শুধু মাত্র ২ মাসের ব্যবধানে নদীর তীরের শত হেক্টর জমি দখলের পর চলছে স্থাপনা নিমার্ণ। খুরুশকুলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য কস্তুরাঘাট পয়েন্টে বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মান করা হচ্ছে একটি সেতু। এইসেতুর পাশাপাশি সংযোগ সড়ক তৈরী হওয়ায় সড়কের দুই পাশে প্যারাবন ধ্বংস করে নদী দখলের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে প্রভাবশালী চক্র।

একে এক দখলের মহোৎসব চললে। যদিওবা এখানে একটি নদী বন্দর হওয়ার জন্য সরকারের প্রজ্ঞাপন রয়েছে। এর জন্য এ জমি বিআইডব্লিউটিএ কে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য হাইকোর্টের রায় রয়েছে।

এর প্রক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ান।

তিনি জানান, সকালে শুরু হওয়া এ অভিযান সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে। কোন ভাবেই নদী দখলের প্রশ্নে ছাড় দেয়া হবে না।

বাপা কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, দেরিতে হলেও নদীর জমিতে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই।

আমরা চাই নদী তার প্রাণ ফিরে পাক, অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে নদী দখলমুক্ত হোক।

পাঠকের মতামত: