কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মদ-ক্লাব-জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ

জাতীয় সংসদে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব, মদ ও জুয়া নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছে। শুধু বিরোধী দলই নয়, সরকারি দলের এমপিরাও এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এসব বন্ধের দাবিও উঠেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিষয়টি সামনে আনেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে একজন চিত্র নায়িকার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে- উত্তরা বোট ক্লাব। কে করল এই ক্লাব? এই ক্লাবের সদস্য কারা হয়? শুনেছি ৫০-৬০ লাখ টাকা দিয়ে ক্লাবের সদস্য হতে হয়। এত টাকা দিয়ে কারা সদস্য হয়? আমরা তো ভাবতেই পারি না। সারাজীবনে এত ইনকামও করি না।

রাজধানীর কয়েকটি ক্লাবের নাম নিয়ে মুজিবুল হক বলেন, এসব ক্লাবে মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। বাংলাদেশে মদ খেতে হলে লাইসেন্স লাগে। সেখানে গ্যালন গ্যালন মদ বিক্রি হয়। লাইসেন্স নিয়ে খেতে হলে এত মদ তো বিক্রি হওয়ার কথা নয়। সরকারি কর্মকর্তারা এখানে কীভাবে সদস্য হয়? এত টাকা কোত্থেকে আসে?

রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ডিজে পার্টি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারা এলাকায় ডিজে পার্টি হয়, সেখানে ড্যান্স হয়, মদ খাওয়া হয়। এসব আমাদের আইনে নেই, সংস্কৃতিতে নেই, ধর্মে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন- কেন এসব হচ্ছে? কেন বন্ধ করা হবে না? ওই সব ক্লাবের সদস্য কারা হয়?

উল্লেখ্য, রোববার এক ফেসবুক পোস্টে ‘হত্যাচেষ্টা ও ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগ সামনে আনেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরে সেই রাতে বনানীতে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিবরণ দেন।

সোমবার সাভার থানায় ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেন তিনি। মামলার প্রধান আসামি উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ঢাকা বোট ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য (বিনোদন ও সংস্কৃতি)। এজাহারের আরেক আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমিও বোট ক্লাবের সদস্য।

পরীমনির অভিযোগ, গত ৮ জুন রাতে অমি তাকে ‘পরিকল্পিতভাবে’ বোট ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর নাসির তাকে ‘ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা’ চালিয়েছিলেন।

পুলিশ ইতোমধ্যে নাসির ও একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক অমিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের সঙ্গে বোট ক্লাবের সদস্য শাহ এস আলমকেও ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: