কক্সবাজার, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে মানুষ হাসে, হনুমানও হাসে : হাছান মাহমুদ

‘সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে দেশের মানুষ হাসে, হনুমানও হাসে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশ চালায়, সরকার সবসময় চাই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি থাকুক। এই কথার মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কি বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা ভেবেছেন। তিনি মনে করেছেন এই কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানাবেন। এটিতে দেশের মানুষ যেমন হাসছে হনুমানও হাসে। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কুমিল্লার ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিল।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনায় কারা মিছিল বের করেছে, সেই ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। তারা কোন দলের সমর্থক, তারা কোন মতাদর্শে বিশ্বাস করে সেগুলো বের করে জনসমক্ষে আমরা সেটা প্রকাশ করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের এই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি কোনভাবেই বিনষ্ট হতে দেবনা।

তিনি বলেন, যারা এই বিশৃঙ্খলার সাথে যুক্ত ছিল, এখনো যুক্ত আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে কিংবা চালাচ্ছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারা সেখানে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা অতিসহসা দিবালোকের মতো পরিস্কার হবে, এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার প্রশংসা পছন্দ হয়নি বিধায় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়। বিএনপি-জামাত রাজনৈতিকভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নানা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটিয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া হয়েছে এটির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল। এটির পেছনে বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী যুক্ত। তারা এই ঘটনা ঘটিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন করেছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল গুপ্তের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি তানভীর হোসেন তপু। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, আকতার হোসেন খান, শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন, যুবলীগের সভাপতি আরজু সিকদার প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: