কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

শিগগিরই তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে: শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আশা করি, এমন আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো, এমনকি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টিও দ্রুতই আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াদিল্লির ‘হায়দরাবাদ হাউস’-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আমি আরেক দফার ফলপ্রসূ আলোচনা শেষ করেছি। যার ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে। আমরা ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি। ‘৭৫ সালে বাবা-মা, ভাই-বোন সবাইকে হারিয়ে আমরা দুই বোন যখন অসহায়, এই ইন্ডিয়াতেই আমরা তখন আশ্রয় পেয়েছিলাম। শুধু আমি না, আমাদের পরিবারের আরও যারা আপনজন হারিয়ে, গুলি খেয়ে আহত হয়, তারা এখানে এসে আশ্রয় নেয়। সবসময় আমাদের দুঃখের সময় ইন্ডিয়া আমাদের পাশে থাকে।’

শেখ হাসিনা জানান, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। কানেকটিভিটি, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশ দিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় সমাধান করেছে। দ্রুতই তিস্তার পানি বন্টন ইস্যুর সমাধান হবে বলেও শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন।’

নরেন্দ্র মোদি ও ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমরা সমাধান করেছি। আমি মনে করি, দুই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, দারিদ্র্য বিমোচন করা, অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা; শুধু আমাদের দুই দেশ না, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সব এলাকা মিলেই যেন এই এলাকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে আরও উন্নত হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা থাকতে পারে। সেগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এর দৃষ্টান্ত আমরা দেখিয়েছি। আজ যেসব সমঝোতা চুক্তি আমরা সই করেছি তা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে।’

প্রধানমন্ত্রী চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লি পৌঁছান। আগামী বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: