কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আশ্চর্য! দুই স্কুলশিক্ষার্থীর একাউন্টেই হাজার কোটি টাকা

দুই স্কুলছাত্রের ব্যাংক একাউন্টে হঠাৎ মিলল ৯০৬ কোটি। এটা দেখে দুই শিক্ষার্থীসহ হতবাক অভিভাবকেরাও। এত অর্থ কী করে একাউন্টে এলো, সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই তাদের। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের কাটিহার জেলার।

এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, পড়াশোনার সহায়তায় সরকারি অনুদানের জন্য উত্তর বিহারে গ্রামীণ ব্যাংকে অন্য শিক্ষার্থীর মতো একাউন্ট খুলেছিল ওই দুই ছাত্রও। স্কুলড্রেসের জন্য সরকারি অনুদানের টাকা এসেছে কি না, তা জানতে মা–বাবাসহ তারা গ্রামের একটি ইন্টারনেট সেবাকেন্দ্রে যায়।

সেখানে একাউন্টে ঢুঁ মারার পর তো তারা অবাক! একাউন্টের তাদের ৯০৬ কোটি রুপি। ঘটনাটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর অনেকেই নিজেদের একাউন্ট চেক করতে শুরু করেন। তাদের আশা ছিল, যদি বড় অঙ্কের অর্থ তাঁদের একাউন্টেও জমা পড়ে!

আশিস নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র দেখে, তার একাউন্টে জমা ৬ কোটি ২ লাখ রুপি। আর গুরুচরণ বিশ্বাস নামের একই শ্রেণির অপর ছাত্রের একাউন্টে মেলে ৯০০ কোটি রুপি। দুজনের একাউন্টের মেলে ৯০৬ কোটি রুপি। (সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ১ রুপিতে ১ দশমিক ১৬ টাকা ধরলে ১০,৪৯,০৮,৭২,৬৫৩ দশমিক ৮৪ টাকা।)

বিষয়টিতে হতবাক গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এত অর্থ কীভাবে ওই দুই শিক্ষার্থীর একাউন্টে জমা হলো, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

ওই জেলার ম্যাজিস্ট্রেট উদয় মিশরা বলেছেন, ‘ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আমাদের জানিয়েছেন, কম্পিউটার সিস্টেমে ত্রুটির কারণে এমনটি হয়েছে। আসলে ওই দুই শিক্ষার্থীর ব্যাংক স্টেটমেন্টে বিপুল অর্থ দেখা যাবে, কিন্তু তারা তা তুলতে পারবে না। কারণ, টাকাগুলো দুই একাউন্টে জমা পড়েনি।’ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের এমন মারাত্মক ভুল এর আগেও ঘটেছে বিহার রাজ্যে। এর আগে বিহারের খাগরিয়া জেলায় রঞ্জিত দাস নামের এক ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে ব্যাংকের ত্রুটির কারণে সাড়ে পাঁচ লাখ রুপি জমা হয়। অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকার করেছিলেন রঞ্জিত দাস। তাঁর একাউন্টে জমা হওয়া ওই পাঁচ লাখ রুপি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেন রঞ্জিত দাস। খবর প্রথম আলোর।

পাঠকের মতামত: