কক্সবাজার, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ৫৩ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে ঘুমধুমের জসিম সহ আটক-৪

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৫৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ পাচারকারী আটক করেছে বিজিবি’র রামু ব্যাটালিয়ন।

বিজিবি’র রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি)’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল ইব্রাহীম ফারুক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন,সোনাপাড়া থেকে কক্সবাজারগামী এক মহিলা ইয়াবা পাচারকারীর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা পাচার হবে।উক্ত তথ্যের উপর ভিত্তিতে ১২ নভেম্বর রাত ৮টায় মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে তল্লাশী কার্যক্রম জোরদার করেন।

পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯ টায় ইয়াবা পাচারকারী মহিলা রামুর থোয়াইংগাকাটা নুরুল হকের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার (২৫) একটি সিএনজি যোগে মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে আসলে সিএনজিটি থামিয়ে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তা অস্বীকার করে।

এর প্রেক্ষিতে মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে কর্তব্যরত মহিলা সৈনিক দ্বারা তাকে পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে তল্লাশী করা হলে তার শপিং ব্যাগে থাকা ৪ প্যাকেট ফ্রীডম স্যানেটারি ন্যাপকিনের ভিতরে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে আসামী স্বীকার করেছে যে, সে টাকার জন্য কুতুপালং থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ইয়াবাগুলো নিয়ে বহন করে নিয়ে আসছিল।আটককৃত আসামী একজন গর্ভবতী মহিলা (বাংলাদেশী নাগরিক) তাকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মোবাইলসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপর এক অভিযানে রামু (৩০ বিজিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে কক্সবাজার গামী একটি মাহিন্দ্রা গাড়ী যোগে প্রচুর পরিমাণ ইয়াবা পাচার হবে।

উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন ১২ নভেম্বর সকাল ১০ টায় অধিনায়ক মরিচ্যা চেকপোষ্টে অবস্থানকালে উক্ত মাহিন্দ্রা গাড়ীটি চেকপোষ্টে আসলে গাড়ীটি থামিয়ে চালক মোঃ জসিম উদ্দিন (১৯), পিতা-আমির হোসেন, গ্রাম- ঘোনারপাড়া, পোষ্ট-বালুখালী, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা-বান্দরবান এবং মোঃ নুরুল ইসলাম (২০), পিতা-আব্দুস সালাম, গ্রাম-কুতুপালং, পোষ্ট-বালুখালী, থানা- উখিয়া, জেলা-কক্সবাজারকে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা তা অস্বীকার করে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে অধিনায়কের উপস্থিতিতে চালকসহ সিএনজিটি পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে তল্লাশী করা হলে গাড়িটির এয়ার ক্লীনার বক্সের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৫ প্যাকেটে ১০ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।পরবর্তীতে আসামীদ্বয় ইয়াবা পাচারের বিষয়টি স্বীকার বলে, তারা কুতুপালং থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত টাকার জন্য ইয়াবাগুলি নিয়ে যাচ্ছিল। আটককৃত আসামীকে (বাংলাদেশী নাগরিক) জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, মাহিন্দ্রা গাড়ী এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

১২ নভেম্বর বেলা আড়াই টায় আরেকটি অভিযানে রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) এর মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়কে মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে তল্লাশীকালীন সিএনজির চালক মোঃ আব্দুস ছবুর (৩৮), পিতা-আব্দুর রহমান, গ্রাম-উত্তর আলীখালী, পোষ্ট-দক্ষিণ হ্নীলা, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে তল্লাশী করা হয়।তল্লশীকালে প্রাথমিকভাবে তার নিকট হতে কিছু পাওয়া যায়নি।

পরবর্তীতে তার সিএনজিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশী করা হলে সিএনজির তেলের ট্যাংকের ভিতরে লুকায়িত অবস্থায় ৩ প্যাকেটে ৩ হাজার পিস বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আসামীকে (বাংলাদেশী নাগরিক) জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, সিএনজি এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনটি পৃথক অভিযানে আটককৃত মালামালের মূল্য ১ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

পাঠকের মতামত: