কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

দেশজুড়ে ইপসা’র কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার আশাবাদ

উখিয়ায় ইপসা’র ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত

বার্তা পরিবেশক::

“হাটি হাটি পা পা করে অনেক চড়াই উতড়াই পেরিয়ে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) উদযাপন করছে ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। আগামীতে দেশজুড়ে ইপসা’র কার্যক্রম বিস্তৃত হবে। ইপসা’র কর্মীরাই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে।”

উখিয়ায় ইপসার ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন আয়োজনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা।

২৮ মে (শনিবার) দুপুর ২ ঘটিকা হইতে উখিয়ার গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন (ইপসা) ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

ইপসা-আই আরসি সাপোট্রেড, গ্যাক ফান্ডেড প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মরিয়ম বেগম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন।

ইপসা’র প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান অনলাইনে যুক্ত হয়ে উখিয়ায় ইপসা’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন আয়োজনে অনেক দিক নির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন এবং অনুষ্টানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এসময় তিনি সংস্থার সব নীতিমালাগুলো মাথায় রেখে সকলকে ইপসা’র অগ্রযাত্রায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইপসা’র সহকারী পরিচালক ও হেড অব রোহিঙ্গা রেসপন্স প্রোগ্রাম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

এসময় তিনি বলেন, ‘ইপসা এখন তাঁর যৌবন পার করছে। ইতিমধ্যেই ইপসা দেশ বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করছে, সেই সাথে কুড়িয়েছে প্রশংসাও। ইপসা’র এই অগ্রযাত্রাকে সবাই মিলে আরও বেশী এগিয়ে নিতে হবে। এটিই হোক আমাদের এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অঙ্গীকার।’

শুভেচ্ছা বক্তব্য নিয়ে মঞ্চে আসেন গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান সত্তাধীকারী মো: শাহনেওয়াজ চেীধুরী।

এরপর ২০ মে ইপসার জন্মদিন উপলক্ষে উদযাপিত ইপসা দিবসের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন চাইল্ড প্রটেকশন প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার রিফাত জাহান।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের মঞ্চে একে একে কথামালা নিয়ে হাজির হন উখিয়াতে ইপসা পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান গন। একে একে কথামালার আয়োজনে অংশ নেন ইপসা এইচএআইবিডি প্রকল্পের ফরহাদ উদ্দিন, কোভিড নাইনটিন প্রকল্পের মোস্তাক আহমদ, সিওসি প্রকল্পের রুহুল্লাহ খান কামাল, শেল্টার প্রকল্পের আদিল মোহাম্মদ ও নিজাম উদ্দিন, সিসিএসডিএসএ প্রকল্পের শিহাব জিশান, জিএফএ প্রকল্পের ইসমাইল ফারুক মানিক, সেল্ফ রিলায়েন্স প্রকল্পের কৃষ্ণা দ্বিজেল, চাইল্ড প্রোটেকশান প্রকল্পের আব্দুন নুর তুষার ও ইয়েস প্রকল্পের ইকবাল হোসাইন।

প্রকল্প প্রধানদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরে আগামী দিনগুলোতে প্রকল্পকে আরও বেশী বেগবান করার আশা ব্যক্ত করেন।

প্রকল্প প্রধানদের পরে কথামালা নিয়ে মঞ্চে আসেন ইপসা কক্সবাজারের নারীর সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক ব্যবস্থাপক জকি দেওয়ান।

সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং ইপসা’র ফোকাল পার্সোন যীশু বড়ুয়া । তিনি বলেন, ইপসা’র সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য, সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের উপকারের জন্য এবং একটি দরিদ্রমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত সমাজ গঠনে অবদান রাখার জন্য। ইপসাকে যারা আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে তাঁদের প্রতি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা।

ইপসা আজকে এই পর্যায়ে আসার কারণে অনেকেরই চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির মাঝেও মানুষের কল্যাণে ইপসা তাঁর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যা প্রশাসন থেকে শুরু করে আপামর জসগনের অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এভাবেই ইপসা’র সুনাম ধরে রাখতে সকলকে স্বচ্ছভাবে ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

সবশেষে কেক কাটার মাধ্যমে সমাপনী করা হয় উখিয়াতে ইপসার জন্মদিনের আনন্দযজ্ঞের আয়োজন।

পাঠকের মতামত: