কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

উখিয়ার রাজাপালংয়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

উচ্ছেদের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অবৈধ সমিল বানিজ্য

উচ্ছেদের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কক্সবাজারের উখিয়ায় রাজাপালং এম ইউ ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা ও রাজাপালং বালিকা দাখিল মাদ্রাসা এবং রাজাপালং সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের লাগোয়া ২টি অবৈধ সমিল বসানো হয়েছে৷ এই সমিল গিলে খাচ্ছে শতশত একর সামাজিক বনায়নের গাছ৷

এতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন বিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান ২টি করাতকলে বনসম্পদ ধংসযজ্ঞ অপ্রতিরূদ্ধ হয়ে উঠেছে।

গত ১৩ এপ্রিল উপজেলা প্রসাশন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে সমিল দুটি উচ্ছেদ করলেও রাতারাতি আবার সমিল বসিয়েছে মাদ্রাসা আঙ্গিনায়। এর পাশে আরও একটি সমিল বসিয়েছে ১০-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট৷

সমিল মালিকদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, কে-বা কারা এই স’মিল বসাইছে তা আমরা অবগত নই৷ অন্যটি প্রায় ১০-১৫ জনের সিন্ডিকেট কেউ শিখার করেনি তবে তারা বনবিভাগকে ম্যানেজ করে অবৈধ স’মিল পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী৷

পরিবেশবাদী সচেতন মহল দাবি করছেন, দুইটি স’মিল মালিকদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা রুজু করা না হলে রাজাপালং য়ের ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি প্রকৃতিক পরিবেশ বিলুপ্ত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মত ভয়াবহ দূর্যোগের সাথে মোকাবেলা করতে হবে৷ এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷

উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম বলেন, বনসম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য অবৈধ স’মিল উদ্ধার এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে৷

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, এই স’মিল গুলো গত এপ্রিল মাসে বনবিভাগ ও থানা পুলিশ সহ অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। না বসানোর জন্য সতর্ক করা হয়েছিল৷ যদি অনুমতি ছাড়া তারা আবারও বসানো হয় তাহলে অবৈধ সমিলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে৷

পাঠকের মতামত: