কক্সবাজার, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

উখিয়ায় দুই জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনায় মামলা

মোহাম্মদ ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া বার্তা::

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ‘জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র দুই নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের এক সদস্য বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে সাতজনকে আসামি করে মামলাটি করেন বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি টান্টু সাহা।

আসামিরা হলেন- জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান ওরফে রণবীর ওরফে মাসুদ এবং তার সহযোগী আবুল বাশার ওরফে আলম- এ সংগঠনের বোমা বিশেষজ্ঞ।

সোমবার ভোরে কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকে জামায়তুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার এক শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ সশস্ত্র সদস্যরা অবস্থান করছে-এমন খবরে র‍্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহজনক ৮ থেকে ১০ জন দৌড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাহাড়ি এলাকায় পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলির পর র‍্যাব সদস্যরা দুইজনকে গ্রেফতার করে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ১০টি পিস্তলের গুলি, গুলির খালি খোসা, দুটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, ১১টি ১২ বোরের কার্তুজ, ১০০ রাউন্ড পয়েন্ট টুটু (.২২) বোরের গুলি এবং নগদ ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

ওসি টান্টু বলেন, সোমবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যকে থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার সকালে র‍্যাবের এক সদস্য বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন।

ওসি আরও বলেন, অভিযানস্থল উখিয়া উপজেলার কুতুপালং এলাকায় হলেও অস্ত্র উদ্ধার এবং জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেফতারের ঘটনাস্থল বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি।

টান্টু জানান, সকালে মামলাটি নথিভুক্ত করার পর গ্রেফতার আাসামিদের বান্দরবান আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পাঠকের মতামত: