কক্সবাজার, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় লকডাউনের সময় ক্রিকেট বন্ধ করতে বলায় সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩

রফিক মাহমুদ, উখিয়া::

উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং এলাকায় দেশে চলমান করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য লকডাউনের সময় ক্রিকেট খেলা বন্ধ করতে বলায় তিন যুবককে চুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করেছে সন্ত্রাসীরা।

গতকাল ২৯ মার্চ সন্দা ৭টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাই ছড়ি গ্রামের উত্তর পাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে। ঘটনায় দুই ভাইসহ তিন জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, সোনাই ছড়ি গ্রামের ছৈয়দ আলমের পুত্র দেলোয়ার হোসাইন (৩০), মোবারক হোসাইন (২৪) ও তারেক হোসাইন (১৭) আহতদের মধ্যে মোবারক হোসাইনের অবস্থা আশংকা জনক বলে তার পরিবার নিশ্চিত করেছে।

আহতদের এলাকাবসী উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে কতর্ব্যরত চিকিৎসক।

এলাকাবসী সূত্রে জানা গেছে সোনাই ছড়ি গ্রামের আলি হোসেন এর পুত্র নুরুল আবছার প্রকাশ (সন্ত্রাসী নান্নু) করোনার এই মহামারিতে সোনাই ছড়ি খেলার মাঠে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করে। এই মহামারি অবস্থার মধ্যে ক্রিকেট খেলা বন্দ রাখার জন্য একই এলাকার মোবারক হোসাইন অনরোধ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

খুঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময় নুরুল আবছার নান্নু হুমকি দিয়ে পেইজ বুকে স্ট্যাটাস দেয়। পরে মোবারক হোসেন খেলার বন্ধের দাবী জানিয়ে উখিয় থানাকে অবহিত করে। উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ নিয়ে খেলা বন্ধ করে দেয় বলে আহত দেলোয়ার জানায়।

তিনি জানান, আলী হোসেনের পুত্র নুরুল আবছার নান্নু, আহমদ শরিফ ও পিতা আলী হোসেন সহ সঙ্গবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় রাম দা, লোহার রট ও লোহার চেইন দিয়ে এলো পাতাড়ি হামলা চালিয় বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন।

এব্যাপরে জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, নুরুল আমিন চৌধুরী কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এই রিপোর্ট লেখাকালীন উখিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে উক্ত ঘটনায় জড়িতের বিরুদ্ধে মামলার পক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত: